Posts

Showing posts from October, 2019

Address Resolution Protocol (ARP)-5

Address Resolution Protocol (ARP) দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ক ডিভাইস যখন কোন একটি সুইচের সাহায্যে সংযুক্ত থাকে তখন আমরা তাকে একটি LAN হিসেবে বিবেচনা করি। একটি LAN এ প্রতিটি ডিভাইস আদান-প্রদানকৃত বিভিন্ন Frame রিসিভ করে। এখন প্রশ্ন হলো, কোন একটি ডিভাইস কিভাবে বুঝবে যে, তার নিকট আসা Frame টি আসলে তার নিজের জন্য এসেছে নাকি অন্য কোন ডিভাইসের। LAN এর ডিভাইসসমূহ যাতে বুঝতে পারে তার কাছে আসা Frame টি তার নাকি অন্য কারো, এজন্য Ethernet নেটওয়ার্কে একটি বিশেষ এ্যাড্রেস ব্যবহৃত হয়, একে MAC Address বলে। MAC Address হলো একটি Unique Identifier যা একটি Ethernet নেটওয়ার্কের প্রতিটি সোর্স এবং ডেষ্টিনেশন ডিভাইসকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে। MAC Address হলো একটি 48 বিটের বাইনারী ভ্যালু যা 12 টি Hexadecimal ডিজিট দ্বারা প্রকাশ করা হয়। MAC Address সমূহ নেটওয়ার্ক ডিভাইসের Network Interface Card (NIC) এর ROM Chip এর মধ্যে Burned অবস্থায় থাকে যা কোনভাবেই পরিবর্তন করা যায় না। এজন্য একে Burned-in Address (BIA) ও বলা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে সফটওয়্যার লেভেলে এই MAC Address সমূহ পরিব...

IP Addressing and Sub-netting-4 (আই.পি এ্যাড্রেসিং ও সাব-নেটিং)

Image
IP Addressing and Sub-netting (আই.পি এ্যাড্রেসিং ও সাব-নেটিং) নেটওয়ার্কের প্রতিটি End Device এর একটি স্বতন্ত্র (ইউনিক) পরিচয় থাকতে হয়। TCP/IP এর Network Layer এ প্যাকেটসমূহকে একটি Source Address এবং একটি Destination Address দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। IPv4 এর প্রতিটি Network Layer Packet এ একটি ৩২ বিটের Source Address ও একটি ৩২ বিটের Destination Address থাকে। এই এ্যাড্রেসসমূহ Binary প্যাটার্ণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একজন মানুষের পক্ষে এই ৩২ বিটের স্ট্রিং মনে রাখা কঠিন, তাই এই এ্যাড্রেসসমূহকে Dotted Decimal ফরম্যাটে রিপ্রেজেন্ট করা হয়। Dotted Decimal Binary প্যাটার্ণের প্রতিটি Byte (1 Byte = 8 bit) কেএকটি ডট (.) দ্বারা আলাদা করা হয়। এই আলাদা অংশগুলোর প্রতিটিকে Octet বলা হয়। যেমনঃ 10101100000100000000010000010100 কে Dotted Decimal এ 172.16.4.20 দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এখানে Binary ৩২ বিটকে প্রতিটি ৮ বিটের চারটি Octet এ বিভক্ত করা হয়েছে। মনে রাখবেন, ডিভাইসসমূহ তাদের অপারেশনের সময় Binary প্যাটার্ণ ব্যবহার করে। Dotted Decimal ফরম্যাট শুধুমাত্র মানুষের বুঝার ও মনে রাখার সুবিধার্থে ব্যবহৃত হয়...

Transport Layer-3

Transport Layer আজকের টিউটোরিয়ালে আমরা TCP/IP এর Transport Layer ও এর কয়েকটি প্রটোকল সম্বন্ধে জানবো। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে, TCP/IP মডেলে Application Layer এর কাজ শেষ হলে ডাটা ঐ লেয়ার থেকে পরবর্তী Transport Layer এ যায়। Transport Layer ডাটাকে ভেঙ্গে সেগমেন্ট এ পরিণত করে এবং এর সাথে এমন একটি মেকানিজম যুক্ত করে যাতে গ্রাহক হোস্ট এই সেগমেন্টগুলোকে একত্রিত করে আবার ডাটাতে রূপান্তরিত করতে পারে। এছাড়াও Transport Layer এর আরো কিছু কাজ আছে। যেমনঃ ১।  Tracking Application  - প্রেরক ও গ্রাহক উভয় হোস্টের এ্যাপ্লিকেশনসমূহের মধ্যকার প্রতিটি কমিউনিকেশনের উপর নজর রাখে। ২।  Identifying Each Application  - প্রতিটি এ্যাপ্লিকেশনকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে যাতে এক এ্যাপ্লিকেশনের তথ্য অন্য এ্যাপ্লিকেশনে না ঢুকে যায়। এই এ্যাপ্লিকেশনসমূহকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে প্রতিটি এ্যাপ্লিকেশনের জন্য স্বতন্ত্র পোর্ট নম্বর ব্যবহৃত হয়। এই পোর্ট নম্বর সম্পর্কে আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত জানবো। ৩।  Segmentation and Reassembly  – বেশিরভাগ নেটওয়ার্কের একটি সীমাবদ্ধতা আছে। যেমনঃ নেটওয়ার্কে...

Application Layer-2

Application Layer আজকের টিউটোরিয়ালে আমরা TCP/IP এর Application Layer ও এর কয়েকটি প্রটোকল সম্বন্ধে জানবো। আমরা পূর্বের টিউটোরিয়ালে জেনেছি যে, এই Application Layer এ নেটওয়ার্ক যোগাযোগের সূচনা হয়। এবং Application Layer এর প্রটোকলসমূহ প্রেরক ও গ্রাহক হোষ্টের মধ্যে ডাটার আদান-প্রদান করে থাকে। TCP/IP মডেলের এই Application Layer কে আরো ভালোভাবে বুঝার জন্য OSI রেফারেন্স মডেলে এটিকে Application Layer, Presentation Layer ও Session Layer এই তিনটি লেয়ারে ভাগ করা হয়েছে। Presentation Layer এর কাজঃ ১। প্রেরক হোষ্টের Application Layer এর ডাটাকে এমনভাবে কোডিং করা যাতে গ্রাহক হোষ্ট তা সহজেই ডিকোড করতে পারে। ২। ডাটাকে এমনভাবে কম্প্রেস করা যাতে গ্রাহক হোষ্ট তা সহজেই ডিকম্প্রেস করতে পারে। ৩। ডাটাকে ট্রান্সমিশনের জন্য এমনভাবে এনক্রিপ্ট করা যা কিনা গ্রাহক হোষ্ট সহজেই ডিক্রিপ্ট করতে পারে। Session Layer এর কাজঃ নাম থেকেই বুঝা যায় যায়, Session Layer এর কাজ হলো প্রেরক ও গ্রাহক হোষ্টের এ্যাপ্লিকেশনসমূহের মধ্যে ডাটা ট্রান্সমিশনের জন্য সেশন তৈরী করা এবং তা মেইনটেইন করা। ইহা সেশনকে প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্...

Network Communication-1 (নেটওয়ার্ক যোগাযোগ)

Image
Network Communication (নেটওয়ার্ক যোগাযোগ) আমরা সবাই কম-বেশী নেটওয়ার্ক বা নেটওয়ার্কিং কথাটির সাথে পরিচিত। নেটওয়ার্ক হলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে লোকজন দূরবর্তী অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারে বা তথ্য আদান-প্রদান করাতে পারে। একমাত্র কার্যক্ষম ও নির্ভরযোগ্য টেকনোলজিই মানুষের সমস্ত চাহিদা মিটিয়ে নেটওয়ার্ককে মানুষের সর্বোচ্চ ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারে। আর এজন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই খাতের উন্নয়নে নানা ধরণের নতুন প্রযুক্তি ও নতুন ডিভাইস তৈরী করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। এই নতুন প্রযুক্তি ও নতুন ডিভাইসগুলোর সফল ব্যবহারই পারে একটি নেটওয়ার্ককে মানুষের ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে। Network Component নেটওয়ার্ক যোগাযোগ শুরু হয় একটি ছোট তথ্য বা ম্যাসেজ থেকে যা একজন প্রেরক পাঠায় কোন প্রাপকের নিকট। এবং এই প্রেরক ও প্রাপকের মাঝখানে থাকে একটি মিডিয়া যার মধ্য দিয়ে এই তথ্য আদান-প্রদান হয়ে থাকে। সুতরাং আমরা বলতে পারি, নেটওযার্কে যোগাযোগের তিনটি প্রধান উপাদান হলো প্রেরক, প্রাপক ও মিডিয়া বা মাধ্যম। মিডিয়াম বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে ক্যাবল বা ওয়্যারলেস ট্রান্সমিশনকে। নেটও...